মহারাজ স্মরণে বার্তা- ঢাকা থেকে লেখক ও গবেষক ফয়সাল আহমেদ

আজ ৯ আগস্ট। আমাদের শোকের দিন। আজ বাংলার মহারাজ এর চলে যাওয়ার দিন। আজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীর ৫৩ তম প্রয়াণ দিবস। স্বাধীনতাকামী ভারতবাসী ও বাংলাদেশের আপামোর সাধারণের জন্য আজকের দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বেদনা বিধুর। একজন বাঙালি হিসেবে এই আগস্ট মাসটিও আমাদের কাছে শোকের মাস হিসেবে বিবেচিত। কারণ ১৯৭৫ সালের এই মাসেরই ১৫ তারিখ আমরা হারিয়েছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আজ বিনম্র চিত্তে দুই শ্রেষ্ঠ বাঙালিকে শ্রদ্ধাভরে এই মঞ্চ থেকে স্মরণ করছি। আপনারা হয়তো জানেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীর আত্মীক যোগাযোগ ছিল। যার প্রমাণ আমরা পাই মহারাজের ভারতবর্ষ সফরের শেষ দিনগুলোতে। সেসময় তিনি তৎকালীন পূর্ব বাংলার মুক্তিকামী নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে ভারতীয় শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন।

মহারাজ সবসময়ই সাধারণ মানুষের মুক্তি চেয়েছেন। তিনি নিজ জীবন বিপন্ন করে ভারতবাসীর চূড়ান্ত মুক্তির লক্ষে লড়াই করেছেন। জেল কেটেছেন তিরিশ বছরেরও অধিক সময়। বাংলার সেই সাহসী বীর যোদ্ধাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি রচনা করেছি – বাংলার মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী নামে একটি গ্রন্থ।

মহারাজ স্মরণে বার্তা- ফয়সাল আহমেদ

আজকে মহারাজ এর ৫৩ তম প্রয়াণ দিবসে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মহারাজ ত্রৈলোক্য চক্রবর্তী এ্যান্ড মার্টার যতীন দাস মেমোরিয়াল কমিটি কেওড়াতলা মহাশ্মশানে মহারাজের আবক্ষ মূর্তির পাদদেশে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় তাঁদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

মানুষের মুক্তির লড়াইয়ে মহারাজ আমাদের অনুপ্রেরণা। জয় হোক মানুষের।

সবশেষে ধন্যবাদ জানাই মহারাজ ত্রৈলোক্য চক্রবর্তী এ্যান্ড মার্টার যতীন দাস মেমোরিয়াল কমিটির সম্মানিত সভাপতি সুধীর রঞ্জন রায় ও সাধারণ সম্পাদক সৌম্যেন গঙ্গোপাধ্যায়কে আমাকে এই বার্তা পাঠানোর আহবান জানানোর জন্য।

আরও পড়ুন – দুই পৃথিবী