চকচকে রাস্তা, ঝকঝকে আলো, আহা আহা। শহর গ্রাম গঞ্জ চারিদিক একেবারে আলোর বন্যায় ছেয়ে গেছে। রাজ্য তথা দেশের প্রান্তে প্রান্তে সব অন্ধকার দূরীভূত হয়েছে। গাঁয়ের মোড় গুলোতে, আগে যেখানে টিমটিম করে টেমির আলো জ্বলত দোকান গুলোতে, সেখানে এখন আর রাত নামে না। বিরাট উঁচু এক স্তম্ভ থেকে এতো আলো এতো আলো যে রাত দিনের ফারাক ই বোঝা যায়না।
সত্যিই আস্তে আস্তে শহরগুলির সাথে সাথে গ্রামে গঞ্জেও আর আঁধার নামেনা, দিনের আলোর মতো উজ্জ্বল রাত আসে, রাত কেটে আবার দিন হয়, বোঝাই যায়না কিছু। জানালা দরজার পাল্লা আটকিয়ে ওই আলোর স্রোত কে আটকাতে হয়, নইলে ঘুমের দফারফা হয়ে যাবে যে ! বিজ্ঞান গবেষণা জানাচ্ছে, সত্যিই পাখী, বাদুর, মথ, কচ্ছপ সহ নানা প্রাণীর জীবন চক্রের দফারফা করে দিচ্ছে এই আলোর দূষণ। সৃষ্টির আদিলগ্ন থেকে প্রকৃতির সব প্রাণীর জীবন চক্র আবর্তিত হয় নিয়মিত দিন – রাত্রি র আবর্তনের সাথে সঙ্গতি রেখে। সন্ধ্যে বেলা হলে ‘ সব পাখি ঘরে ফেরে ‘। দিনের আলো মুছে যাওয়ার সাথে সাথে থেমে আসে পাখির কাকলী, আবার পুব আকাশ ফরসা হতে শুরু হলে ‘ পাখির ডাকে জেগে ‘ উঠি। কি দুর্ভাগ্য, এই উন্নয়নের পৃথিবীতে আর তাদের বেঁচে থাকা