Students Against Growth

১৯৮৭ সাল। অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৩৫ বছর আগে জাতি সংঘের বিশ্ব পরিবেশ কমিশন তাদের রিপোর্ট পেশ করে।-সেখানে আমরা সুস্থায়ী উন্নয়নের (sustainable developmentএর) যে সংজ্ঞা পাই তা খানিকটা এরকম:

সুস্থায়ী উন্নয়ন এমন এক উন্নয়ন যা বর্তমান প্রজন্মের চাহিদা এমন ভাবে পূরণ করবে যাতে পরবর্তী প্রজন্মের প্রয়োজন পূরণ করতে কোন সমস্যা না হয়।

এই রিপোর্টকে আমরা Brundtland Report বলে জানি।

কিন্তু আমরা দেখছি যে নব্যউদারবাদী সংস্কৃতি প্রজন্মের পর প্রজন্মের চাহিদা এমনভাবেই বাড়িয়ে তুলছে যা কোনোভাবেই সুস্থায়ী হতে পারেনা। এবং এই চাহিদা বাড়িয়ে তোলার ক্ষেত্রে তাদের সব থেকে বড় অস্ত্র উন্নয়ন, তথা উন্নয়নের ধারণা।

উন্নয়নের পূর্বশর্ত দেশের মোট উৎপাদন তথা উপভোগ বৃদ্ধি পেতে হবে।

উন্নয়ন আজ নির্বাচনের সবথেকে বড় স্লোগান। উন্নয়নের নামে নদীতে বাঁধ দেওয়া হয়। উন্নয়নের নামে জঙ্গল কেটে সাফ করা হয়।

এহেন উন্নয়নের গোড়ার কথা প্রবৃদ্ধি (growth)।

অর্থাৎ, দেশের মোট উৎপাদন তথা উপভোগ বৃদ্ধি পাওয়ার পূর্বশর্ত দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (বা economic growth)।

প্রবৃদ্ধি আমাদের নিঃশ্বাসের বায়ুকে দূষিত করছে। প্রবৃদ্ধি আমাদের তৃষ্ণার জলকে দূষিত করছে। প্রবৃদ্ধি জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করছে।

প্রবৃদ্ধি আমাদের বেঁচে থাকার প্রতিটি শর্তকে লঙ্ঘন করছে। আর এর সর্বাধিক মূল্য আমরা যারা ছাত্রছাত্রী, আমাদের প্রজন্মকেই দিতে হচ্ছে, এবং ভবিষ্যতেও দিতে হবে।

তাই আমাদের লড়াই প্রবৃদ্ধির বিরুদ্ধে, growthএর সর্বনাশা ধারণার বিরুদ্ধে।

প্রবৃদ্ধির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আমরা তাই আজকের প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের আহ্বান জানাচ্ছি। আহ্বান জানাচ্ছি তাদের পরিবেশ সংক্রান্ত যেকোনো খবর, ভাবনা, লেখা, ছবি, গান ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও দি ডিগ্রোথের পাতায় প্রকাশের জন্য। তার সাথে তারা প্রকাশ করতে পারে তাদের পরিবেশ সংক্রান্ত অন্য যেকোনো মাধ্যমের কাজ, যেমন কমিউনিটি আর্ট, ইনস্টলেশন, পারফরম্যান্স, গ্রাফিতি, ইত্যাদি।  

চলো প্রতিরোধে নামি, চলো আন্দোলনে মাতি।